এবার ভোলার ইলিশা-১ কূপকে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে। এটি দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র। ইলিশাসহ ভোলায় সব মিলিয়ে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে। এটি হলো ভোলা জেলার তৃতীয় গ্যাসক্ষেত্র। অন্য দুটি হলো শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্র।
আজ সোমবার ২২ মে সকালে রাজধানীর বারিধারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ভোলার ইলিশা-১ কূপে সম্ভাব্য মজুত ৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এখান থেকে দৈনিক উত্তোলন করা যাবে ২০-২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইলিশায় মজুদ গ্যাসের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ২৬ হাজার কোটি টাকা। প্রসেস প্লান্ট পাইপলাইনসহ অন্যান্য সবকিছু শেষ করে নতুন গ্যাস ব্যবহার করতে আড়াই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলসহ সারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই গ্যাস নতুন মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, যত শিল্প এলাকা হবে ভবিষ্যতে সেখানে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায় সরকার। ভোলার গ্যাস দিয়ে মানুষকে কীভাবে সুবিধা দেয়া যায়, সেটা আমরা বিবেচনা করে দেখছি। এর আগে ভোলার ইলিশাকে দেশের নতুন গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জ্বালানি বিভাগে প্রস্তাব পাঠায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
এর আগে গত ৮ মার্চ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম বাপেক্সের হয়ে কূপটি খনন করে। গত মার্চে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাটসংলগ্ন এলাকায় খননকাজ শুরু হয়। তিন হাজার ৪৭৫ মিটার গভীর পর্যন্ত খননকাজ শেষ হয় ২৪ এপ্রিল। প্রথম স্তরের সফলতার পর গত ৭ মে দ্বিতীয় স্তরেও মেলে গ্যাসের সন্ধান। পরে ১৫ মে তৃতীয় স্তরেও পাওয়া যায় গ্যাসের সন্ধান।
এদিকে গত ১৯৯৩-৯৪ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিনে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। ২০১৮ সালে আবিষ্কৃত হয় ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্র। এই দুই গ্যাসক্ষেত্রে আটটি কূপ খনন করা হয়। প্রস্তাবিত নতুন ক্ষেত্রটিসহ ভোলায় গ্যাসের মজুতের পরিমাণ ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)।